Ticker

6/recent/ticker-posts

রাসায়নিক পরিবর্তন জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

আসসালামু আলাইকুম! প্রিয় শিক্ষার্থী উক্ত আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে পরীক্ষার সেরা প্রস্তুতির নিশ্চয়তায় রাসায়নিক পরিবর্তন অধ্যায়ের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর শিখে নিতে পারবে।


রাসায়নিক পরিবর্তন জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
রাসায়নিক পরিবর্তন জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

রাসায়নিক পরিবর্তন অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর


প্রশ্ন ১। একমুখী বিক্রিয়া কী?


উত্তর: কোনো বিক্রিয়ার সমস্ত বিক্রিয়ক পদার্থ যখন উৎপাদে পরিণত হয় তখন সে বিক্রিয়াটিকে একমুখী বিক্রিয়া বলে।



প্রশ্ন ২। উভমুখী বিক্রিয়া কী?


উত্তর: যেসব রাসায়নিক বিক্রিয়া কোনো নির্দিষ্ট অবস্থায় একই সাথে সম্মুখদিক ও পশ্চাৎদিক হতে সংঘটিত হয় সেসব বিক্রিয়াকে উভমুখী বিক্রিয়া বলা হয়।



প্রশ্ন ৩। গ্রিন কেমিস্ট্রি কী?


উত্তর: রসায়নের যে শাখার কোনো রাসায়নিক দ্রব্যাদির উৎপাদন, ব্যবহার ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য টেকসই ও নিরাপদ পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে গ্রিন কেমিস্ট্রি বলে।



প্রশ্ন ৪। এটম ইকোনমি কী?


উত্তর: কোনো বিক্রিয়ার কাঙ্ক্ষিত উৎপাদের মোট আণবিক ভর এবং বিক্রিয়াতে ব্যবহৃত সকল বিক্রিয়কের সংকেত ভরের যোগফলের অনুপাতকে এটম ইকোনমি বলে।



প্রশ্ন ৫। বিক্রিয়ার হার ধ্রুবক কাকে বলে?


উত্তর: কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যদি প্রতিটি বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা 1 mol/L হয় তাহলে হারকে বিক্রিয়ার হার ধ্রুবক বলে।




প্রশ্ন ৬। বিক্রিয়ার গতি কী?


উত্তর: প্রতি একক সময়ে বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা হ্রাস বা বিক্রিয়ায় সৃষ্ট। উৎপাদের ঘনমাত্রা বৃদ্ধির হারই হলো বিক্রিয়ার গতি।



প্রশ্ন ৭। বিক্রিয়ার হার কী?


উত্তর: একক সময়ে বিক্রিয়ার উৎপাদ গঠন অথবা বিক্রিয়ক হ্রাসের পরিমাণকে বিক্রিয়ার হার বলে।



প্রশ্ন ৮। সমসত্ত্ব সাম্যাবস্থা কী? 


উত্তর: যে সাম্যাবস্থায় কোন উভমুখী বিক্রিয়ায় সবকটি বিক্রিয়ক ও উৎপাদ একই ভৌত অবস্থায় থাকে তাকে সমসত্ত্ব সাম্যাবস্থা বলে।



প্রশ্ন ৯। রাসায়নিক সাম্যাবস্থা কী?


উত্তর: রাসায়নিক সাম্যাবস্থা হলো এমন একটি অবস্থা যখন কোনো উভমুখী বিক্রিয়ায় সম্মুখ বিক্রিয়া বা অগ্রবর্তী বিক্রিয়ার গতিবেগ পশ্চাৎবর্তী বা বিপরীত বিক্রিয়ার গতিবেগের সমান হয়।



প্রশ্ন ১০। লা-শাতেলিয়ার নীতিটি বিবৃত কর।


উত্তর: লা-শাতেলিয়ার নীতিটি হলো- যেসব নিয়ামকের (তাপমাত্রা, চাপ এবং ঘনমাত্রা) উপর কোনো উভমুখী বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা নির্ভরশীল তাদের যে কোনো এক বা একাধিক নিয়ামকের পরিবর্তন ঘটলে সাম্যাবস্থার অবস্থান ডানে বা বামে এমনভাবে স্থানান্তরিত হয় যাতে এসব নিয়ামক পরিবর্তনের ফলাফল প্রশমিত হয়।



প্রশ্ন ১১। প্রভাবক সহায়ক কী?


উত্তর: যেসব পদার্থের উপস্থিতির কারণে প্রভাবকের প্রভাবন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় তাদেরকে প্রভাবক সহায়ক বলে।



প্রশ্ন ১২। আবিষ্ট প্রভাবক কী?


উত্তর: কোনো বিক্রিয়ার একটি বিশেষ বিক্রিয়কের প্রভাবে তার অপর বিক্রিয়কের সাথে তৃতীয় কোনো পদার্থের বিক্রিয়া ঘটে, কিন্তু পৃথকভাবে তাদের মধ্যে কোনো বিক্রিয়া ঘটে না, তখন ঐ বিশেষ বিক্রিয়কটিকে পরের বিক্রিয়ার আবিষ্ট প্রভাবক বলে।



প্রশ্ন ১৩। সমসত্ব প্রভাবক কী?


উত্তর: যদি কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিক্রিয়াকগুলোর ভৌত অবস্থা ও প্রভাবকের ভৌত অবস্থা একই হয় তখন তাকে সমসত্ব প্রভাবক বলে।



প্রশ্ন ১৪। প্রভাবক বিষ কী?


উত্তর: যেসব পদার্থের উপস্থিতির কারণে প্রভাবকের প্রভাবন ক্ষমতা হ্রাসপ্রাপ্ত হয় এমনকি বন্ধও হয়ে যায় তাদেরকে প্রভাবক বিষ বলে।



প্রশ্ন ১৫। অটো প্রভাবক কাকে বলে?


ত্তর: যদি কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার বিক্রিয়াজাত যেকোনো একটি উপাদান প্রভাবক হিসেবে বিক্রিয়ার বেগকে বৃদ্ধি করে তবে সেই বিক্রিয়াজাত পদার্থকে অটো প্রভাবক বলে।



প্রশ্ন ১৬। ভরক্রিয়া সূত্রটি লিখ।


উত্তর: ভরক্রিয়া সূত্রটি হলো- নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কোনো নির্দিষ্ট মুহূর্তে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার, সেই মুহূর্তে উপস্থিত বিক্রিয়ক পদার্থগুলোর প্রত্যেকটির সক্রিয় ভরের সমানুপাতিক।



প্রশ্ন ১৭। সাম্যধুবক কী?


উত্তর: উত্তর: স্থির তাপমাত্রায় ও স্থির চাপে একটি উভমুখী বিক্রিয়ায় উৎপন্ন পদার্থসমূহের সক্রিয় ভর যেমন মোলার ঘনমাত্রা বা আংশিক চাপ এর গুণফল এবং বিক্রিয়কসমূহের সক্রিয় ভরের গুণফলের অনুপাত একটি স্থির রাশি হয়ে থাকে যাকে সাম্যধুবক বা সাম্যাঙ্ক বলে।



প্রশ্ন ১৮। Kc বলতে কী বোঝ?


উত্তর: কোনো উভমুখী বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থায় ভরক্রিয়ার সূত্র মতে, উৎপাদসমূহের মোলার ঘনমাত্রা গুণফল ও বিক্রিয়কসমূহের মোলার ঘনমাত্রার গুণফলের অনুপাতকে মোলার সাম্যধুবক Kc বলে।



প্রশ্ন ১৯। বিয়োজন মাত্রা কী?


উত্তর: দ্রবণে উপস্থিত কোনো এসিডের মোট মোল সংখ্যার যে ভগ্নাংশ বিয়োজিত হয় তাকে ঐ এসিডের বিয়োজন মাত্রা বলে।



প্রশ্ন ২০। মোলার সাম্যধুবক কাকে বলে?


উত্তর: কোনো উভমুখী বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থায় ভর ক্রিয়ার সূত্র মতে বিক্রিয়ক ও উৎপাদের সক্রিয় ভরকে মোলার ঘনমাত্রায় প্রকাশ করে প্রাপ্ত সাম্যধ্রুবককে মোলার সাম্যধুবক বলা হয়।



প্রশ্ন ২১। Kp কাকে বলে?


উত্তর: ভরক্রিয়ার সূত্র মতে বিক্রিয়ক ও উৎপাদের সক্রিয় ভরের জন্য আংশিক চাপ ব্যবহার করে প্রাপ্ত সাম্যধ্রুবককে আংশিক চাপ সাম্যধুবক বা Kp বলে।



প্রশ্ন ২২। আয়নিক গুণফল কী?


উত্তর: যেকোনো দ্রবণের প্রতি মোল দ্রব থেকে উৎপন্ন আয়নসমূহের উপযুক্ত ঘাতসহ ঘনমাত্রার গুণফলকে আয়নিক গুণফল বলে।



প্রশ্ন ২৩। pKw কী?


উত্তর: Kw-এর ঋণাত্মক লগারিদমকে বলা হয় pKw.



প্রশ্ন ২৪। এসিডের বিয়োজন ধ্রুবক কী?


উত্তর: প্রতি লিটার জলীয় দ্রবণে উপস্থিত কোনো অম্লের মোল সংখ্যার যে ভগ্নাংশ বিয়োজিত অবস্থায় থাকে তাকে ঐ এসিডের বিযোজন ধ্রুবক বলে।



প্রশ্ন ২৫। ক্ষারকের বিয়োজন ধ্রুবক Kb কী?


উত্তর: প্রতি লিKc র জলীয় দ্রবণে উপস্থিত কোনো ক্ষারকের মোল সংখ্যার যে ভগ্নাংশ বিয়োজিত অবস্থায় থাকে, তাকে ঐ ক্ষারকের বিয়োজন ধ্রুবক (Kb) বলে।



প্রশ্ন ২৬| pH স্কেল কী?


উত্তর: কোনো দ্রবণের pH এর মান 1 হতে 14 ব্যবধিতে প্রকাশ করার জন্য যে স্কেল ব্যবহৃত হয়, তাকে pH বলে।



প্রশ্ন ২৭। pH এর সংজ্ঞা লিখ।


উত্তর: কোনো দ্রবণের হাইড্রোজেন আয়নের ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদমকে pH বলে।



প্রশ্ন ২৮। POH কী?


উত্তর: কোনো দ্রবণের হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH) এর ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদমকে POH বলে।



প্রশ্ন ২৯। বাফার ক্রিয়া কী?


উত্তর: কোনো দ্রবণের সামান্য পরিমাণ এসিড বা ক্ষারক যোগ করলে সে দ্রবণের pH পরিবর্তনে বাধা দেওয়ার ক্রিয়াকৌশল বা প্রক্রিয়াকে বাফার ক্রিয়া বলে।



প্রশ্ন ৩০। বাফার দ্রবণ কী?


উত্তর: যে দ্রবণে সামান্য পরিমাণ এসিড বা ক্ষারকের দ্রবণ যোগ করার পরও দ্রবণের pH এর মান অপরিবর্তিত থাকে, তাকে বাফার দ্রবণ বলে।



প্রশ্ন ৩১। বাফার ক্ষমতা কাকে বলে?


উত্তর: বাফার দ্রবণের একক pH পরিবর্তনের জন্য কোনো তীব্র ক্ষারকের যতটুকু ঐ দ্রবণে যোগ করতে হয়, তাকে বাফার ক্ষমতা বলে।



প্রশ্ন ৩২। অম্লীয় বাফার দ্রবণ কী?


উত্তর: একটি মৃদু এসিড দ্রবণের সাথে ঐ এসিড এবং তীব্র ক্ষারকের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন লবণকে দ্রবীভূত করলে উৎপন্ন বাফার দ্রবণকে অম্লীয় বাফার দ্রবণ বলে।



প্রশ্ন ৩৩। শক্তির নিত্যতার সূত্র কী?


উত্তর: শক্তির নিত্যতা সূত্রটি হলো- এ মহাবিশ্বের সামগ্রিক শক্তির কখনো হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটে না; তা সবসময় স্থির বা নিত্য থাকে শুধুমাত্র একরূপ থেকে অন্যরূপে পরিবর্তন ঘটে।



প্রশ্ন ৩৪। সক্রিয়ণ শক্তি কাকে বলে?


উত্তর: একটি বিক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য ন্যূনতম যে শক্তির প্রয়োজন তাকে সক্রিয়ণ শক্তি বলে।



প্রশ্ন ৩৫। বিক্রিয়া তাপ কি?


উত্তর: কোনো বিক্রিয়া সমতাযুক্ত সমীকরণ মতে বিক্রিয়কসমূহের সংখ্যানুপাতিক মোল পরিমাণে সম্পূর্ণরূপে বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন বা শোষিত তাপের পরিমাণকে বিক্রিয়া তাপ বলে।



প্রশ্ন ৩৬। তাপ রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে?


উত্তর: যে সমতাকৃত সমীকরণ দ্বারা বিক্রিয়ক ও উৎপাদের ভৌত অবস্থা এবং তাপশক্তির পরিবর্তন উভয়ই প্রকাশ করা হয়, তাকে তাপ রাসায়নিক সমীকরণ বলে।



প্রশ্ন ৩৭। দ্রবণ তাপ কাকে বলে?


উত্তর: একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় যথেষ্ট পরিমাণ দ্রাবকে। মোল - দ্রবকে দ্রবীভূত করে যদি দ্রবণ প্রস্তুত করা হয় এবং তাতে যদি আরও দ্রাবক যোগ করেও তাপীয় অবস্থায় কোনো পরিবর্তন ঘটানো না যায় তবে ঐ দ্রবণ প্রস্তুত করতে তাপের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকে ঐ দ্রবের দ্রবণ তাপ বলে।



প্রশ্ন ৩৮। এনথালপি কি?


উত্তর: এনথালপি হলো প্রমাণ অবস্থায় (অর্থাৎ 298 K এবং 1 atm চাপে) একটি বিক্রিয়ার তাপের পরিবর্তন।



প্রশ্ন ৩৯। দহন তাপ কাকে বলে?


উত্তর: নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও 1 atm চাপে। মোল কোন মৌলিক বা যৌগিক পদার্থকে অক্সিজেনে সম্পূর্ণরূপে দহন করলে এনথালপির যে পরিবর্তন ঘটে তাকে দহন তাপ বলে।



প্রশ্ন ৪০। প্রশমন তাপ কী?


উত্তর: সাধারণ কক্ষ তাপমাত্রায় অর্থাৎ, 250°C তাপমাত্রায় এসিড প্রদত্ত 1 mol H কে ক্ষারকের লঘু দ্রবণ দ্বারা প্রশমিত করে 1 mol পানি উৎপন্ন হওয়ার ফলে যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয়, তাকে প্রশমন তাপ বা প্রশমন এনথালপি বলে।



প্রশ্ন ৪১। ঊর্ধ্বপাতন এনথালপি কী?


উত্তর: এক মোল পরিমাণ কঠিন পদার্থ যে তাপ শোষণ করে সরাসরি গ্যাসীয় অবস্থায় রূপান্তরিত হয়, তাকে ঊর্ধ্বপাতন এনথালপি বলা হয়।



প্রশ্ন ৪২। বাষ্পীয়করণ এনথালপি কী?


উত্তর: এক মোল তরল পদার্থ এর স্ফুটনাঙ্ক যে পরিমাণ তাপ শোষণ করে বাষ্পে পরিণত হয়, তাকে ঐ পদার্থের বাষ্পীকরণ এনথালপি বলা হয়।



তোমরা নিশ্চয়ই এতক্ষণে পুরো আর্টিকেলটি পড়েছ। আজকের এই রসায়নিক পরিবর্তনের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন গুলো কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানিও। আর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারো এবং EduRunway ওয়েবসাইটের পাশেই থেকো!